কলকাতা: আগামী ১০ই ডিসেম্বর রয়েছে প্রাথমিকের টেট পরীক্ষা। আর সেই টেটকে ঘিরেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ফলত সেই কারণে ইতিমধ্যেই গতবার থেকেই বেশ কয়েক দফা পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষা পর্ষদ। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হ্যান্ড মেড মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার ও পরীক্ষার্থীদের ফ্রিস্কিং করা। এবার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আরও এক ধাপ এগোনোর গতি আন্তে চায় প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।
পর্ষদ সূত্রের খবর নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে এবার পরীক্ষার্থীদের “ফিঙ্গার প্রিন্ট” ব্যবহার করাতে চায় পর্ষদ।পর্ষদ সূত্রে খবর আপাতত পুরোটাই পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে। তবে প্রাথমিক টেট এর আবেদন পত্র জমা নেওয়ার সময় আঁধার কার্ডের কপিও নেওয়া হয়েছিল। সেই আঁধারে পরীক্ষার্থীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট রয়েছে। তার সঙ্গে সেই পরীক্ষার্থীদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলিয়ে দেখা হতে পারে। অর্থাৎ আসল পরীক্ষার্থী না নকল পরীক্ষার্থী তার মধ্যে ফারাক করা সহজ হবে বলে মনে করছে পর্ষদ।
যদিও এই পরিকল্পনাটি কার্যকরী করার ক্ষেত্রে খরচের হিসেব, খলনায়ক হয়ে দাঁড়িয়েছে পর্ষদের কাছে। তার কারণ গতবারের মতো এবারও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের ঢোকা ও বেরোনোর জায়গায় সিসিটিভি লাগানো বাধ্যতামূলক করতে চলেছে। কিন্তু এর পাশাপাশি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার আরও নিশ্চিন্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা যাবে প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে বলেই মত পর্ষদের আধিকারিকদের।পর্ষদ সূত্রে খবর চলতি সপ্তাহের মধ্যেই পর্ষদ নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি গৌতম পাল কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে নাকচ করেছেন । অন্যদিকে কিভাবে পরীক্ষা কেন্দ্র গুলিতে প্রাথমিকের টেট আগামী ১০ই ডিসেম্বর নেওয়া হবে সেই বিষয়ে নির্দেশনামা প্রস্তুতির কাজও শুরু করেছে পর্ষদ।
প্রসঙ্গত প্রাথমিকের টেটে গতবারের তুলনায় এবারে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনেকটাই কমেছে । এর পিছনে কারণ হিসাবে আশংকা করা হচ্ছে প্রাথমিকের টেটে বিএড উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন না এই নিয়ম কেউ উল্লেখ করেছে পর্ষদ। তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম হলেও নিরাপত্তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ |
